এই বইয়ের আখ্যানপুরুষ জাতবৈষ্ণব বিশ্বাসীজন। বর্ণাশ্রমী বৈষ্ণব তোতারাম একদিন চিহ্নিত করে দেন জাতবৈষ্ণবরা অপবর্গী, জারজ—সমাজে তাই অচ্ছুৎ। বর্ণসমাজে ব্রাহ্মণত্বের আর্য- গৌরব, সমকালীন শাসকের ধর্ম ইসলাম, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাতার। বাঙলার এমত সমাজ জীবনযাপনে চৈতন্যদেবের মানবতন্ত্রের ঘোষণা—শ্রেণীকরণের সব চিহ্ন, সব লাঞ্ছনের মুক্তি মানবতন্ত্রে দীক্ষা। সেই পথের আশ্রয়পুরুষ চৈতন্যদেব, আশ্রিত আচরিত পন্থা বৈষ্ণবীয় ভক্তিবাদ। সে-কাতারে নাথযোগী আছে, অন্ত্যজ আছে—এইসব মানুষের যাপনকথা জাতবৈষ্ণব কথা। কীভাবে ভিতরের মানুষ অপর প্রান্তিক হয়ে যায় এই বই তার আখ্যান। সময়ের আর এক ফেরে জাতবৈষ্ণব গোষ্ঠীর অন্তর্গত দ্বন্দ্বের স্বরূপ এই বই। একটা কথা স্পষ্ট করে দেওয়া জরুরি, এই আখ্যান আচরিত যাপনচিত্রের কথকতা মাত্র নয়, বাঙলার সমাজ ও কৃষ্টিগত পরম্পরায় সমানভাবেই অর্থবহ।
রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
বাঙালির চৈতন্যলাভ - প্রবীর সেন
চৈতন্যদেব যে আদর্শে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তা সর্বজনীন এক চিরন্তন আদর্শ । জীবের প্রতি দয়া এবং কায়মনে ঈশ্বরের ভক্তি, আর সেই ভক্তিকে উদ্দীপ্ত করার জন্য নাম-সংকীর্তন। এর উপরই চৈতন্যদেবের প্রবর্তিত ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। জাতি-বর্ণ নির্বিচারে সব মানুষ সমান। সকলেই আধ্যাত্মিক সাধনার অধিকারী হতে পারে। এই সত্যই তিনি প্রমাণ করে গেছেন। তাঁকে কেন্দ্র করেই এবং তাঁর আদর্শকে নিয়ে বাঙালির সংগীত, সাহিত্য, শিল্পকলা এবং দার্শনিক চিন্তা ভাবনা বিভিন্নভাবে সঞ্চারিত হয়েছে। এটাই প্রকৃতার্থে বাঙালি জাতির প্রথম জাগরণ।
শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
চৈতন্যদেব - দেবনাথ বন্দোপাধ্যায়
৫০০ বছর আগের অন্ধকারাচ্ছন্ন, কুসংস্কার গ্রস্ত, ভেদাভেদ প্রিয় বাঙালির চৈতন্যলাভ হলো এক ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমায়। তার আবির্ভাব ও কর্মকান্ড বাংলা তথা ভারতবর্ষে জাতিভেদ প্রথা , কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠিত বিপ্লব। এই মহাজীবনকে ক্ষুদ্র বইয়ের ৫০-৬০ পাতায় ধরানো সম্ভব না হলেও অসামান্য প্রচেষ্টা করেছেন লেখক দেবনাথ বন্দোপাধ্যায়।
বইটি প্যাপিরাস জীবনী সিরিজের অঙ্গ। এই সিরিজিটিতে শঙ্খ ঘোষের সম্পাদনায় দিকপাল সব লেখকেরা দেশ বিদেশের বিভিন্ন উজ্জ্বল নক্ষত্রদের জীবনী সংক্ষেপে কিশোরপাঠ্য করে লিখেছেন। অনন্য সেসব লেখা , অনন্য সেইসব জীবন।
শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
প্রসঙ্গ সত্যজিৎ - অমিয় সান্যাল
বইটি থেকে সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। লেখক বহুদিন সত্যজিৎ রায়ের সান্নিধ্যে কাটিয়েছিলেন। এই বইতে সত্যজিতের সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের স্মৃতিচারণ রয়েছে। সত্যজিৎ রায় একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে তাঁকে বোঝার চেষ্টা বাঙালি আজও করে চলেছে। এই বইটি যে সেই প্রচেষ্টার পালে হাওয়া হালে পানি দেবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
সুভাষ নমিতা সুনীতের উপকথা - সুনীত মুখোপাধ্যায়
বইটি মূলত ডাক্তার সুভাষ মুখার্জির জীবন ও জীবন দর্শন নিয়ে লেখা। ডাক্তার সুভাষ মুখার্জি বিশ্বের প্রথম (?) টেস্ট টিউব বেবি বা নলজাতক সৃষ্টি করেছিলেন হিমায়িত ভ্রূণ থেকে।
তাঁর এই সৃষ্টির জন্য প্রাপ্য সম্মান তিনি পাননি উপরন্তু চরম অবমাননা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে তাঁকে এক সময় আত্মহত্যা করতে হয়। লেখক সুনীত মুখার্জি ছিলেন সুভাষ মুখার্জি ও নমিতা মুখার্জির বন্ধু। ৮৪ বছর বয়সে লেখক এই গ্রন্থ রচনার কাজে হাত দেন।
বইটি আমাদের জন্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাদেরই বন্ধু দেবজয় ভট্টাচার্যকে।
-
উন্নয়ন, বিকাশ, বিকশিত দেশ। অর্থাৎ গতকাল যা ছিলাম আজ তার থেকে ভালো। এগিয়ে যাও। সরলরৈখিক ভাবে ভালো, আরো ভালোর দিকে এগোতে এগোতে ক্লান্ত হয়ে ...
-
এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নানা কিংবদন্তি নিয়ে লেখা এক অসাধারণ গ্রন্থ। প্রতি কিংবদন্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা গল্প গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়ে...