রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

উত্তরপাড়ার রথযাত্রা ও দোলযাত্রার ইতিহাস : কৌশিক পাল চৌধুরী

উত্তরপাড়া হুগলী জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ। সেই সুপ্রাচীন ভূমিতে উদযাপিত  রথযাত্রা ও দোলযাত্রা উৎসব শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী। অথচ এর কোনও লিখিত ইতিহাস এতকাল ছিল না। এই গ্রন্থের প্রথম অংশে বিবৃত হয়েছে উত্তরপাড়ায় রথযাত্রা প্রচলনের ইতিহাস। দ্বিতীয় অংশে প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা হয়েছে ভদ্রকালী মন্দির, রঘুনাথ জীউ মন্দির ও শ্যামরায়ের দোলযাত্রা উৎসবের সুপ্রাচীন ইতিবৃত্ত। উৎসবাদির বর্ণনা প্রসঙ্গে ঘুরে ফিরে এসেছে এর পৌরাণিক উৎস ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। এছাড়া দোলের মেলা আর রথের মেলার অনুপম হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা গ্রন্থটিতে এক নতুন মাত্রা যােগ  করেছে। একাধিক মূল্যবান স্কেচ, রঙিন আলােকচিত্র ও দুর্লভ মানচিত্রে গ্রন্থটি সুসমৃদ্ধ।


শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

ময়মনসিংহ গীতিকার গল্প-নীরদবরণ হাজরা

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৎকালীন প্রধান দীনেশচন্দ্র সেন। ১৯১২-১৩ সালে তার হাতে পড়ল এক পত্রিকার এক প্রবন্ধ। প্রবন্ধকার মালীর যােগান’ নামের সেই প্রবন্ধে  অনেকগুলি গীতিকার সন্ধান দিয়েছেন। আলােচনার জন্য কোথাও কোথাও ওইসব গীতিকার অংশবিশেষের উদ্ধৃতিও দিয়েছেন।

দীনেশচন্দ্র বিষয়টা নিয়ে শিক্ষিতজনের সঙ্গে আলােচনা করলেন। বেশিরভাগ লােক এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কেউ কেউ বললেন যে, তারা খুব ছেলেবেলায় গ্রামের ছােটোলােকদের মধ্যে অমন গান-টানের চল দেখেছেন। দেখেছেন লাঙলে ভর দিয়ে শত শত কৃষক তা উপভােগও করে। তবে তা নিম্নরুচির! তারা ওসব নিয়ে দীনেশচন্দ্রকে চিন্তিত হতে নিষেধ করলেন।

দীনেশচন্দ্র কিন্তু এই চিন্তা ছাড়লেন না। বরং তিনি ওই পত্রিকার সম্পাদক কেদারনাথ মজুমদারকে লেখক চন্দ্রকুমার দে সম্পর্কে জানাতে বললেন এবং তাঁকে কলকাতায় পাঠাতে বললেন। কেদারনাথ চন্দ্রকুমার সম্পর্কে যে-সংবাদ জানালেন, তা এই যে, ময়মনসিংহের কেন্দুয়া ডাকঘরের এলাকার আইথন নামে এক গ্রামে ১৮৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার জন্ম হয়। বাবার নাম রামকুমার। তার বাবা-মা অল্পবয়সে মারা যান। ফলে তার লেখাপড়া হয় গ্রামের পাঠশালা পর্যন্ত। ভাবুক প্রকৃতির এই ছেলেটার যে ক-বিঘে জমি ছিল, লােভী জমিদার তাও ছিনিয়ে নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দিল। বালক কাজ নিল এক মুদিখানায়। মাসিক বেতন এক টাকা। কিন্তু যেছেলে অবকাশ পেলে বই পড়ে, নিজে লিখতে চেষ্টা করে তাকে দোকানদারের পছন্দ হবে কেন! অতএব চাকরি গেল চন্দ্রকুমারের। 

কিছুদিন স্রোতের শ্যাওলার | মতাে ঘুরে সে পেল গ্রামের তহশিলদারি। গ্রামে গ্রামে ঘােরা হল তার চাকরির অঙ্গ। এই সূত্রেই সে সন্ধান পেল ওই অমূল্য ধনের। মালীর যােগান’-এ তারই খানিক স্বাদ পেয়েছেন দীনেশচন্দ্র।

কিন্তু কলকাতায় পাঠানাের উপায় নেই। চন্দ্রকুমার তখন উন্মাদ হয়ে গেছেন। দীনেশচন্দ্র হতাশ হলেও হাল ছাড়লেন না। চন্দ্রকুমার একটু সুস্থ হতেই তাকে আনা হল কলকাতায়। নিয়মিত চিকিৎসার আয়ােজন হল। চন্দ্রকুমার স্বাভাবিক হলেন। এতদিনে তার সংগ্রহ পড়ে ফেলেছেন দীনেশচন্দ্র। পড়ে ফেলেছেন স্যার আশুতােষ মুখােপাধ্যায়। ওঁরা চন্দ্রকুমারকে মাসিক বৃত্তিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রাহক পদে নিযুক্ত করলেন। চন্দ্রকুমারের প্রথম ঝোক ছিল শিষ্টসাহিত্যের পুথি সংগ্রহের দিকে। কারণ কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু দীনেশচন্দ্র নাছােড়বান্দা। তার নিয়মিত উৎসাহে চন্দ্রকুমার নেমে পড়লেন অসাধ্য সাধনে। এসব পালা সংগ্রহ সহজ নয়। লেখা পুথি পাওয়া যায় না। পালাগুলাে বেঁচে আছে বহুজনের স্মৃতিতে। সকলে সবটাও জানেন না। কে কোনটুকু জানেন, তারও হদিস খুঁজে বের করতে হয়। চন্দ্রকুমারের কালে নাকি ব্যাপারটা ছিল আরও কঠিন।

যা হােক, চন্দ্রকুমারের নিদারুণ শ্রমে ও ত্যাগে সংগ্রহ হয় ময়মনসিংহ গীতিকার সবকটি পালা। ওগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিতও হয় দীনেশচন্দ্রের সম্পাদনায়।


শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলার মাকড়সা - গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য

আমাদের বাংলাদেশে এক ইঞ্চির প্রায় পঁচিশ ভাগের এক ভাগ থেকে চার-পাঁচ ইঞ্চি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের অসংখ্য রকমারি মাকড়সা দেখতে পাওয়া যায়।  আমরা অনেকেই জাল-বােনা মাকড়সার সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত। কিন্তু সব রকমের মাকড়সাই জাল বােনে না। যারা জাল বােনে একমাত্র তাদের রকমারি অবাক করার মতো। কেউ জাল বােনে খাড়াভাবে, কেউ বােনে শয়ানভাবে। কারাে জাল তেকোনা, কারাে জাল বহুকোণী । কারাে জাল তাবুর মতাে, আবার কারাে জাল পাতলা কাগজের মতাে সমতল। বিভিন্ন জাতের মাকড়সার জাল বােনার কৌশল এবং কারুকার্যও বিচিত্র রকমের। 


শ্ৰীযুক্ত গােপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য কেবলমাত্র যে কৃতী বৈজ্ঞানিক তা নন, বাংলাদেশের বিজ্ঞান সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি একজন সুপরিচিত লেখক।

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

অন্তরঙ্গ চারু মজুমদার: অমিত রায় (সংকলক)

ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রধান চরিত্র চারু মজুমদার। চারু বাবু নকশাল আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ ছিলেন। সি পি আই এম এল পার্টি গঠনের মাত্র তিন বছরের মধ্যে তাঁর নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। চারু মজুমদার যখন ধরা পড়েন তখন তার বয়স চুয়ান্ন বছর। দেশে তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল সেই আমলের ১০ হাজার টাকা। ধরা পড়ার মাত্র ১১ দিনের মাথায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। চারু বাবুর পথ ভুল না ঠিক তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে, হবেও কিন্তু তিনি এমন এক মানুষ যাকে কোনোদিনই উপেক্ষা করা যায় না।

এই বইটি লিখিত হয়েছে চারু মজুমদারের সান্নিধ্যে আসা নানা মানুষের স্মৃতিকথার ভিত্তিতে।


শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২

জীবন-রাগ: তারাপদ সাঁতরা

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক সংবাদপত্র জনপদবার্তায় এই স্মৃতিকথা প্রথম প্রকাশিত হয়। মােট ২৬ কিস্তিতে প্রকাশিত এর প্রথম লেখাটি মুদ্রিত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০১-এ। পত্রিকার পক্ষে শ্যামল বেরা ও তাপসকান্তি রাজপণ্ডিত ছিলেন এর মূল পরিকল্পক, ১৫ দিন পর-পর তারাপদ সাঁতরার নবাসন বাড়ি থেকে তাঁরাই গিয়ে লেখা নিয়ে আসতেন। এমনকী কিডনির অসুখে তারাপদ সাঁতরা যখন কলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখনও সেখান থেকে তাঁরা লেখা নিয়ে এসেছেন এবং তা ছাপাও হয়েছে। কিন্তু পত্রিকাটি অনিয়মিত হওয়ায় এক বছরের লেখা বেরয় প্রায় দেড় বছর জুড়ে। এ সমস্ত কিছুরই উল্লেখ লেখার মধ্যে আছে। তারপর পত্রিকাটি বন্ধই হয়ে যায়, ফলে লেখাও বন্ধ। ধরে নেওয়া যায়, এ লেখা আরও অনেক | কিস্তি চলত, অন্তত যত দিন তারাপদ বাবু বেঁচেছিলেন। এ স্মৃতিকথা তাই অসমাপ্তই থেকে গেছে।

প্রকাশের সময় খণ্ডাকারে প্রকাশিত এ লেখার মূল শিরােনাম ছিল ‘জীবনবীণার রাগরাগিনী’,বই হিসেবে প্রকাশের সময়ে তা ঈষৎ সংক্ষেপ করা হয়েছে। জীবনপঞ্জি ও গ্রন্থপঞ্জি তৈরিতে প্রকাশিত তথ্যের অনুসরণ করেছিল। বিশেষ করে উল্লেখ্য, বনানী-র তারাপদ সাঁতরা স্মরণ সংখ্যার (২০০৩) কথা।



শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

শান্তিপুরের সেকাল একাল : অমিতাভ মিত্র

পাল ও সেন যুগের সমৃদ্ধ অঞ্চল শান্তিপুর। চৈতন্যদেবের ভক্তি আন্দোলনে ভাসা রাজপুরুষ, জমিদার, বিত্তবান বণিকদের ইতিহাসের সঙ্গে আছে জগৎ খ্যাত কবি সাহিত্যিক শিল্পী শিক্ষাবিদদের কথা, রাজার সনদ, বনেদি বাড়ি, আদিবাসী গ্রাম সে আমলের মন্দির গাত্রের সুক্ষ কারুকাজ ও বৈষ্ণব ও শাক্ত ভক্তদের নানা উৎসবের ছবি।

অনেকে জানেনই না শান্তিপুরে ২৫টি সুদৃশ্য মসজিদ আছে। টেরাকোটা সমৃদ্ধ মন্দির আছে, জঙ্গল আছে, আদিবাসী গ্রাম আছে। মানুষ জানেই না শান্তিপুরে ছােটো ছােটো ৮০টির অধিক শিবমন্দির আছে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কোনাে কিছুকে মানুষের কাছে সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হলে তার সঠিক বিপণন দরকার। পর্যটক আসলেই তাে সেই জায়গার উন্নতি সম্ভব। লেখক ভেবেছেন শান্তিপুরকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করলে ভালাে হয়—(১) অদ্বৈতপাট বাবলা, নােয়াজনিতলা বা লােহাজাঙ্গীতলা, বানকের নীলকুঠি, বড় গােস্বামীর বাড়ী, বংশীবদন ঠাকুরবাড়ী, গােকুলচাঁদ  ঠাকুরবাড়ী, মদনগােপাল, চাকফেরা বাড়ী, জলেশ্বর,বুড়ােশিব, আগমেশ্বরী মন্দির, আশানন্দ আর এর মধ্যে থাকা মসজিদগুলি ও শ্যামাদ মন্দির, (২) হরিপুর, ব্রহ্মশাসন, বাগআঁচড়া বাগদেবী, রামকৃষ্ণ মিশন এবং (৩) ফুলিয়া কৃত্তিবাস, টাঙ্গাইল শাড়ি বিপণন কেন্দ্র।



রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

কবিশেখর সমীপেষু : কবিশেখর কালিদাস রায়কে লেখা পত্রগুচ্ছ : সংকলন ও সম্পাদনা : কবিরঞ্জন রায় ও কবিকঙ্কন রায়

কবিশেখর কালিদাস রায় বাঙালি পাঠকের কাছে একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। বাংলা সাহিত্য গগনে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা যায়। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, ছান্দসিক, বৈয়াকরণ, সাহিত্য সমালােচক, শিক্ষাব্রতী ও ভাষাতত্ত্ববিদ। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। শিক্ষা জগতে তার নবচিন্তন শিক্ষাব্রতেরই অনুসরণ করছেন পরবর্তী শিক্ষক সমাজ। উত্তর জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত বহু কৃতী ছাত্রের তিনি ছিলেন শিক্ষাগুরু। এই ছাত্র দরদী কবির অমর কবিতা ছাত্রধারা বাংলা দেশের এমন কোন শিক্ষার্থী নেই, যাঁরা পড়েন নি।

কবিশেখরের সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বভারতী তাঁদের সর্বোচ্চ ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি দানে সম্মানিত করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য ও কাব্যে শ্রেষ্ঠ কীর্তির জন্য জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে গবেষণার জন্য সরােজিনী স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করেন। রবীন্দ্রভারতী ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি দেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পূর্ণাহুতি কাব্যগ্রন্থের জন্য তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করেন।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর সাহিত্য যাত্রা শুরু হয়। তারপর ৭০ বছর ধরে অক্লান্ত সাহিত্য সাধনা করে গেছেন। এই ৭০ বছরের সাহিত্য জীবনে তিনি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন। তার মধ্যে কাব্য, অনুবাদ কাব্য, সমালােচনা সাহিত্য, রম্য রচনা, কিশোর বা শিশুসাহিত্য, ব্যাকরণ, ভাষাতত্ত্ব, ছন্দ, অলংকার, বাংলা অভিধান উল্লেখযোগ্য। এই ৭০ বছরের সাহিত্য জীবনে তিনি কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানী, সঙ্গীতশিল্পী প্রমুখ অসংখ্য মনীষীর সংস্পর্শে আসেন। কবিশেখরের সঙ্গে চিঠিপত্রের মাধ্যমে তাঁদের নিয়মিত ভাবের আদানপ্রদান হতো।

পত্রকারদের মধ্যে বিশিষ্ট কয়েকজন হলেন : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক ও সাহিত্যসেবী হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ভাষাবিদ ও অধ্যাপক বিধুশেখর শাস্ত্রী, পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন, রাজশেখর বসু, অমল হোম, অধ্যাপক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপকুমার রায়, অধ্যাপক সুশীলকুমার দে, ঐতিহাসিক ও চিন্তাবিদ রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় ও রাধাকমল মুখোপাধ্যায়, সাহিত্য সমালোচক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি, কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বনফুল, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি ও সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার, পরিমল গােস্বামী, কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কবি যতীন বাগচী, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জসীমউদ্দীন প্রমুখ আরাে অনেক গুণীজন।

 এই পত্রগুলিতে সেকালের সমাজ চিত্র, সংস্কৃতি, আচার বিচারের অনেক পরিচয় পাওয়া যাবে। ৭০ বছরের অনেক ইতিহাস, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেকালের কবি-লেখকেরা কিরকম অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন তারও একটা পরিচয় এইসব পত্রে পাওয়া যায়। একে অপরের সঙ্গে শ্রদ্ধা-বন্ধুত্ব-স্নেহের বন্ধনে জড়িয়ে থাকতেন। পরস্পর পরস্পরের ছিদ্র খুঁজে বেড়াতেন না। ভালাে লেখার জন্য যেমন দরাজ হাতে প্রশংসা করতেন, তেমনি লেখা মনঃপুত না হলে সমালােচনা করতেও ছাড়তেন না—তা আবার জানিয়ে দিতেন পত্রের মাধ্যমে। কবিশেখর সম্বন্ধে আজও আমাদের অনেক তথ্য অজানা থেকে গেছে। এই পত্রগুলি পড়লে পাঠকেরা অনেক নতুন তথ্য জানতে পারবেন।



শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশের মন্দির-রতনলাল চক্রবর্তী

লেখক এই গ্রন্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল, শিল্প নৈপুণ্য, গঠন ও অলংকরণ ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। মন্দির নির্মাণে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য কর্মে বাংলাদেশের অধিবাসীদের শিল্প নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। 




শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২

ভাসিয়ে দিয়েছি কপোতাক্ষ জলে:মনোজ মিত্র ও অমর মিত্র

বাংলা ভাগ বাস্তুহারা করেছিল লাখো মানুষকে। ছিঁড়ে গিয়েছিল শিকড়। হারিয়ে গিয়েছিলো অনেকের আনন্দের শৈশব, উচ্ছলতার কৈশোর ও যৌবন, শান্তির বার্ধক্য। তারপর প্রায় দুই প্রজন্ম পার হতে চলল। এখনো সেই ব্যাথা নাড়া দেয় বুকে। বড় মিঠে লাগে সেই ফেলে আসা কাল। 

কপোতাক্ষ নদীর তীরে নিজের ফেলে আসা দেশের বাড়ি আর শৈশব কৈশোরের গল্প বলেছেন মনোজ মিত্র। অমর মিত্রর কলমে দেশভাগ পরবর্তী এক ছিন্নমূল পরিবারের তরুনের শিকড় সন্ধানের অভিজ্ঞতার কাহিনী। ভাসিয়ে দিয়েছি কপোতাক্ষ জলে তাই সময় ও স্মৃতির অসামান্য দলিল। 




মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

মুক্তি সংগ্রামে বাংলার উপেক্ষিতা নারী - সোনালী দত্ত

তারা অগ্নিযুগের মেয়ে। আগুন নিয়ে খেলেছিলেন। স্বাধীনতার জন্যে বাজি ধরেছিলেন জীবন। তারা বেরিয়ে এসেছিলেন। সংস্কারের গণ্ডি ভেঙে, সামন্ততন্ত্রের অন্ধকার সরিয়ে। তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তি। দেশের সাথে সাথে নিজের অবরুদ্ধ অন্তরাত্মার মুক্তি। তারা আইন অমান্য করেছেন, ব্রিটিশের থানায় উড়িয়ে দিয়েছেন জাতীয় পতাকা। রাইফেল ধরতে তাদের হাত কাঁপেনি। বুক কাঁপেনি ফসলের অধিকারের দাবিতে রাষ্ট্রযন্ত্রের পাঠানাে ঘাতক বাহিনির চোখে চোখ রেখে দাঁড়াতে। ধান এবং মান রক্ষার সংগ্রামের সেই সােনালী অতীতকে বিস্মৃত হয়েছে আমাদের বর্তমান। উপেক্ষার কালাে মেয়ে ঢাকা পড়ে গেছে। অর্ধেক আকাশের অনেক উজ্জ্বল তারা। তাঁদেরই পঞ্চাশ জনকে পুনঃপ্রকাশের আলোয় আনার চেষ্টা করেছে এই গ্রন্থ। 


সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

কলকাতার কালীবাড়ি - অনীশ ঘোষ

সবাইকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা

বৃহত্তর কলকাতার বিভিন্ন কালীবাড়ি, তার ইতিহাস, প্রচলিত গল্প নিয়ে সাংবাদিক অনীশ ঘোষের লেখা অত্যন্ত সুখপাঠ্য বই। 



বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

দুই বাংলার হাতি : কিছু ভাবনা : শান্তনু ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গের দুটি অঞ্চল - উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে হাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে খাবার কমে আসছে। হাতি বেরিয়ে পড়ছে লোকালয়ে।  মানুষের ক্ষেত খামারে ভাঁড়ারে। সংঘর্ষ এখন নিত্যদিন। দুই বাংলার হাতি সমস্যার কারণ কিছুটা হলেও ভিন্ন। সমাধান তাই খুঁজতে হবে আলাদা রাস্তায়। এই বইয়ে তারই খোঁজ - হাতি বিশেষজ্ঞ শান্তনু ঘোষের লেখনীতে। 



রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

কলকাতা একাল ও সেকাল

কলকাতার বিখ্যাত স্থানগুলোর ঐতিহাসিক পরিচয়, পুরোনো ছবি আর রথীন মিত্রের অসাধারণ স্কেচ সমৃদ্ধ সংগ্রহযোগ্য কলকাতা বিষয়ক বাংলা বই। 


বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

বাংলার কিংবদন্তি : শীলা বসাক

 এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নানা কিংবদন্তি নিয়ে লেখা এক অসাধারণ গ্রন্থ।

প্রতি কিংবদন্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা গল্প গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রন্থে। কোথাও কাটা ছেঁড়া করা হয়নি বিজ্ঞান অথবা যুক্তিবাদের ছুরিতে।


সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

সুন্দরবন ভ্রমণ বৃত্তান্ত : স্বপনকুমার মন্ডল

 


হেমন্তর কি মন্তর: সুভাষ মুখোপাধ্যায়

 

কাকে বলে নাট্যকলা: শম্ভু মিত্র

বাংলার মাছ: শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য

কীর্তিবাস কলকাতা: তারাপদ সাঁতরা

 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ: বদরুদ্দীন উমর

৩০০ বছরের কলকাতা: পটভূমি ও ইতিকথা: অতুল সুর