শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

সেই সময় রাঙামাটির বাঁকুড়া - দেবল দেববর্মা

ভাবতেও অবাক লাগে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত বাঁকুড়ায় কোনো রেলপথ ছিল না। বাঁকুড়া যেতে হলে ই.আই.আর'এর ট্রেনে চেপে রানিগঞ্জে নামতে হত। ওখান থেকে বাঁকুড়া ত্রিশ মাইল। ভরসা ঘোড়ায় টানা টিক্কা গাড়ি। এই গাড়িতে চেপেই ওয়েসলিয়ন মিশনের পাদ্রীরা বাঁকুড়ায় পৌঁছতেন। আর এই অবস্থাতেই স্থাপিত হয় বাঁকুড়া ওয়েসলিয়ন মিশন কলেজ, পরে নাম বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজ।

বাঁকুড়ার নামকরণ কেমন করে হয়েছিল? মল্ল রাজবংশের শ্রেষ্ঠ নৃপতি বীর হাম্বীরের চারজন রানি এবং বাইশটি পুত্র। বীর হাম্বীর তাঁর রাজ্যকে বাইশটি তরফে ভাগ করেন। এর মধ্যে একটি পান তার তৃতীয় বা চতুর্থ পুত্র বীর বাঁকুড়া। রাজপুত্রের নামেই যে নগরীর নাম সেটাই অনেকে বিশ্বাস করে।

সেইকালের ঘটনাবলির মধ্যে পাবেন বর্গি বা মারাঠা দস্যুদের ১৭৪২ সাল থেকে ১৭৫১ সালের শেষ পর্যন্ত বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এবং হুগলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অকথ্য অত্যাচার। মল্লরাজ-বংশের তখন হাঁটু ভাঙা দ'য়ের অবস্থা। আর বর্ধমানরাজ কীর্তিচাঁদ তার অনেক অংশ দখল করে নিয়েছেন।

এরই মধ্যে পাবেন মল্লরাজাদের হাতে তৈরি মন্দিরময় বিষ্ণুপুর, নতুন বিষ্ণুপুর ঘরানার সুর ঝংকার, ভাস্কর পণ্ডিতকে গুপ্তহত্যা, বি.ডি.আর ট্রেনের অবলুপ্তি, অসম্পূর্ণ মারাঠা ডিচ্ এবং সেদিনের শ্বাপদ সংকুল জঙ্গলময় বাঁকুড়ার এক আলোকোজ্জ্বল নগরীতে উত্তরণ।


শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

হাজারদুয়ারি-শান্তনু বিশ্বাস

হাজারদুয়ারি মুর্শিদাবাদ তথা বাংলার অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলির একটি।  এই বইতে জায়গা করে নিয়েছে হাজারদুয়ারি এবং  সে আমলের মুর্শিদাবাদ ও মুর্শিদাবাদের নানা ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে অল্প বিস্তর তথ্য ও ছবি।  এই তথ্যের সবই ঐতিহাসিক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত নয় বরং লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী।  কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন হলেও পড়তে মন্দ লাগেনা।  


শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

কালীকোটির ইতিকথা-অসিত দাস

কলকাতা নিয়ে বিভিন্ন বইয়ের মধ্যে চিকিৎসক অসিত দাসের লেখা এই বইটি আলাদা স্থান করে নেবে কারণ এতে কিছু ভিন্ন ভাবনার খোরাক রয়েছে। বইটির সূচিপত্র বেশ আকর্ষক।  তবে এই বইতে এমন কিছু প্রবন্ধও আছে যার সাথে কলকাতা ও তার ইতিহাসের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে সেগুলিও যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ, আর পড়তেও মন্দ লাগেনা।  

শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

গ্রামবাংলার বন্য জন্তু (স্তন্যপায়ী ) - শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য

জীব পরিমন্ডলে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা খুব গুরুত্বপূর্ণ যেখানে মানুষ সবচেয়ে উপরের ধাপে অবস্থান করছে। বিভিন্ন বন্য স্তন্যপায়ী গ্রাম্যবাস্তুতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও এদের অনেকেই জঙ্গলের বাসিন্দা ।

গ্রামগঞ্জের চিরস্থায়ী উন্নয়নের জন্য এইসমস্ত বন্যপ্রাণীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান আহরণ খুবই প্রয়োজনীয় । তাই জীবপরিমন্ডলের বিভিন্ন জীবের উপর মেঠো বই প্রকাশের বিশেষ উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদ গ্রহণ করেছে। বর্তমান প্রকাশনার মূল উদ্দেশ্য ছাত্রছাত্রীসহ সমস্ত মানুষ যাতে এই বইটিকে ব্যবহার করে খুব সহজে গ্রামবাংলার বিভিন্ন স্তন্যপায়ীকে চিনতে পারেন । তাছাড়া জন জীববৈচিত্র্য নথি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের কাজে এই বই বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে ।


শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

আন্দামান পুনর্বাসন - এক বাঙাল অফিসারের ডাইরি -বিকাশ চক্রবর্তী

বাঙালির দেশভাগের যন্ত্রণা কোনও দিন ঘোচবার নয়। দেশ স্বাধীন-হওয়া এবং বাঙালির বড় একটা অংশের দেশ-হারানো ভারত-ইতিহাসে এক মর্মবিদারী অধ্যায় হয়ে আছে। অধ্যায়টি সম্প্রসারিত হয় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন পর্বে। রাষ্ট্রের হাতে মানুষের যত অপমান নির্যাতন হতে পারে, সবই সইতে হয়েছে একটি জাতিকে। কলকাতা শহরের ফুটপাথে, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, দূর মফস্সলের খা-খা প্রান্তর থেকে দণ্ডকারণ্যের পাষাণভূমি— সর্বত্র পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুরা নিক্ষিপ্ত হয়েছে জঞ্জালের মতো। কোথাও কি সহানুভূতি, সহমর্মিতা ছিল না? ছিল, দ্বীপান্তরের দেশ আন্দামানে। নিম্নবর্ণের শ্রমজীবী উদ্বাস্তু বাঙালি সেখানে পেয়েছে সম্মান ও সুযোগ। তৈরি করেছে নিজের দেশ। নববঙ্গ । আন্দামানে পুনর্বাসনের ইতিহাস উদ্বাস্তু বাঙালির স্বাবলম্বনের ইতিহাস, লড়ে-যাওয়া খেটে-খাওয়ার ইতিহাস । এক শোষণহীন, উচ্চনীচ ভেদাভেদহীন সমাজস্থাপনের ইতিহাস। দফায় দফায় এই পুনর্বাসনের বিশদ বিবরণ, ঘটনা ও পরিসংখ্যান-সহ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পেশ করেছেন পুনর্বাসনের দায়িত্বে থাকা এক ‘বাঙাল’ অফিসার।