রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

কাল চলে গল্প বলে - ডাঃ অক্ষয়কুমার আঢ্য

সে এক অন্যযুগ— অন্যসময়। সে যুগের মানুষ একদিকে প্রভূত কর্মদ্যোগী আবার মানবিক মূল্যবোধে আন্বিত ৷ গোষ্ঠী সত্তাকে অতিক্রম করে তার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। এরই পাশে পাশে ইউরোপীয় শাসন শৃঙ্খলের আনুগত্য স্বীকার করেই জীবনের উৎকর্ষ সন্ধান । একদিকে উৎকট বিলাস ও বৈভবের ছড়াছড়ি— অন্যদিকে গৃহপালিত জীবনের মাধুর্য। এইসব মিলিয়েই ছিল সেদিনের বঙ্গজীবনের বৈশিষ্ট্য। এই গ্রন্থের দুই মলাটের মধ্যে সেই হারিয়ে যাওয়া বাঙালী জীবনের অভিজ্ঞানগুলিকে ফিরে দেখা।


শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

বাঙ্গালি জীবনে দলাদলি - সজল বসু

শ্রীচৈতন্য থেকে রবীন্দ্রনাথ সবাই দল-এর লক্ষ্যবস্তু ছিলেন, এবং সেই দল ছিল চলতি নিয়মের প্রতিভূ। ‘সুরাই মেলের কুল বেটা সর্বনাশের মূল' রামমোহনের উদ্দেশ্যে এই ছড়া, বা 'পায়রা কবি' রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে রক্ষণশীল সাহিত্য সমালোচকদের আক্রমণ এরই বহিঃপ্রকাশ। বাঙ্গালী সব সময়ে কুচক্রী, দলাদলিতে পটু, একথাও যথার্থ নয়। সব দেশে সব সমাজে দল, দলাদলি আছে, থাকবে। কারণ সমাজে এর উপযোগিতা আছে। সতীদাহ, জাতপাত, কুলীনদের বহুবিবাহের অত্যাচারের অবসান ত নতুন দল-এর উদ্ভবেই সম্ভব হয়েছিল ! শ্রীচৈতন্যের মতো পুরুষও ত ‘পাষণ্ড' বলে অভিহিত হয়েছিলেন, কিন্তু নব চিন্তাধারায় মানুষকে জড়ো করে তিনি নিয়ম ভাঙ্গার বাতাবরণ সৃষ্টি করেছিলেন পুরানো দলকে বিপর্যন্ত করে ৷
দল ও দলাদলি অর্থে'ই কূটকচালি, কোন্দল বা দলপতি মাত্রেই স্বেচ্ছায় আপন দলের কাউকে বিনা কারণে ত্যাগ করতে পারেন, এমন নয়। সাধারণতঃ দলাদলি কথাটার মধ্যে বেশ একটা মজা ও ঝগড়াঝাটির ভাব দ্যোতনা করে। এবং বাঙ্গালী সবচেয়ে বেশি দলাদলি করে, চক্র গড়ে, দল ভাঙ্গে এমন অহেতুক ধারণাও জনপ্রিয়। কিন্তু দলাদলির যে একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে, প্রগতি-সংস্কারে দল ও দলাদলি কীভাবে সমাজ প্রবাহে গতির সঞ্চার করেছে, এবিষয়ে আমরা অনবহিত। এই অনালোচিত দিকটির বিশ্লেষণ দিয়েই এই গ্রন্থের সূচনা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, সমাজ আন্দোলন ও রাজনৈতিক স্তরে দল ও দলাদলি সম্পর্কে আলোচনায় এর বিস্তৃতি। পাচটি অধ্যায়ে দলাদলির ঐতিহাসিক পটভূমি, সমাজ সংস্কারে এর অবদান, জীবনের নানা ক্ষেত্রে দলাদলির বিন্যাস ও রূপ তুলে ধরা হয়েছে।

শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

মনে রেখো - সুচিত্রা মিত্র

প্রবাদপ্রতিম কণ্ঠ শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের নিজের কলমে তার জীবন ও স্মৃতি বইটির উপজীব্য।  তারসাথে আছে অনেক পুরোনো , হারিয়ে যাওয়া ছবি।  আজকাল থেকে প্রকাশিত বইটি একারণেই অনন্য। 


শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

বাংলায় বৌদ্ধধর্ম ও বাঙালি বৌদ্ধদের ক্রমবিবর্তন-সাধনকমল চৌধুরী

বৌদ্ধধর্ম হচ্ছে এক উন্নত ধরনের নীতিবোধ যা মানুষকে পরিশদ্ধ করে মক্তিদায়ী পথে আগয়ান করে । তাই এই ধর্মে— পূজা, মন্ত্র, জপ, হোম, যজ্ঞ সম্পর্ণ অবান্তর। পূজো, অনষ্ঠান ধর্মের বহিরঙ্গ মাত্র। এগুলো আসল সত্য নয়। চাণক্য নীতিতে আছে ‘ন দেবো বিদ্যতে কাষ্ঠে, ন পাষাণে, না মৃণ্ময়ে । দেবো হি বিদ্যতে ভাবে তস্মাৎ ভাবো হি কারণম' (সপ্তম, ১২) অর্থাৎ ‘কাঠ, পাষাণ, মাটির মূর্তির মধ্যে দেবতা বিরাজ করেন না। ভাবের মধ্যেই দেবতার অস্তিত্ব। ভাবই আসল কারণ'। বুদ্ধ এগুলো বাদ দিয়ে সোজা- সাজি মূলে চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর অননুগামীরা একসময় ধর্ম কে পপুলার করার জন্যে নতুন করে এই ধর্ম কে সাজালেন। এসে গেল মূর্তিপুজো, আচার-অনষ্ঠান। বাংলায় বুদ্ধের ধর্ম একসময় এইভাবে নতুন রূপ পেল । এলো শূন্যবাদ, তন্ত্রসাধনা ও সহজযান সাধনা। এই সব বহিরঙ্গের তলায় তলিয়ে গেল বৃদ্ধের সঠিক ধর্ম-দর্শন। সেই ধর্মে'র ক্রমবিবর্তন নিয়ে আলোচনায় তাই স্বাভাবিকভাবে এসে পড়েছে তন্ত্রসাধনা, ভক্তিবাদ প্রভৃতি। দশ- মহাবিদ্যা ও নানা বৌদ্ধ দেব-দেবীর কথাও তাই উল্লিখিত হয়েছে। ইতিহাসের পথ ধরে বাংলায় বৌদ্ধধর্ম যেমন নানা রূপ বদল হয়ে এগিয়েছে, ঠিক তেমনি এই ধর্মের অনুরাগী বাঙালী বৌদ্ধরাও নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এই দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানব গোষ্ঠী থেকে একসময় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। সারা ভারতবর্ষ' থেকে একসময় বুদ্ধের ধর্ম বিলপ্ত হয়ে গেলে ও তা কিন্তু সম্পূর্ণ মাছে গেল না এই বাঙালী বৌদ্ধদের কারণে। সেই আদিকাল থেকে কিছ, সংখ্যক বাঙালী বৌদ্ধরা বদ্ধের ধর্ম কে এই মহাদেশে টিকিয়ে রাখলো । তারা সংখ্যায় নগণ্য হলেও আজও তারা রয়েছে বৃদ্ধের ধর্মকে ঢুকে ধরে । তাদের বেশীরভাগটা রয়েছে বাংলাদেশে, আর বাকিরা জীবিকার তাড়নায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভারতবর্ষে'র নানা অঞ্চলে। এদের ইতিহাস বহ, প্রাচীন। প্রাচীন মগধ থেকে তার সূত্রপাত৷



শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

মেঘলোকের দেশে - নারায়ণ সান্যাল

নারায়ণ সান্যাল জীবনে প্রথমবার দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাসে। ৯ অক্টোবর, মহানবমীতে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে দিন পনেরোর ছুটি কাটিয়ে আসেন দার্জিলিং পাহাড়ে। এই বই লেখকের জাদু কলমে তাঁর প্রথম দার্জিলিং ভ্রমণের কাহিনী।