শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

নবাবী আমলে মুর্শিদাবাদ -সুশীল চৌধুরী

মুর্শিদাবাদ নগরী। এক করুণ-রঙিন ইতিহাস লগ্ন হয়ে আছে সে নগরীর পরতে পরতে। নবাব মুর্শিদকুলি খান ১৭০৪ সালে এই নগরীর পত্তন করেন। সে হিসেবে ২০০৪ সালে, মুর্শিদাবাদের তিনশো বছর পূর্ণ হল। এ উপলক্ষেই বর্তমান গ্রন্থের অবতারণা। মুর্শিদাবাদ সংক্রান্ত বেশির ভাগ প্রামাণিক গ্রন্থই একশো বছর বা তার আগে লেখা। গত কয়েক দশকেও এই নগরী নিয়ে বেশ কিছু বই ও কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তার সবগুলিতেই মুর্শিদাবাদের খণ্ড খণ্ড চিত্র, সামগ্রিক চিত্র ঠিক কোথাও পাওয়া যায় না। মুর্শিদাবাদের তিনশো বছর পূর্তি উপলক্ষে এর ইতিহাসের প্রতি, বিশেষ করে স্বাধীন নবাবি আমলে এই শহরের প্রসঙ্গে, নতুন ভাবে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজন আছে। লেখক প্রায় চার দশক ধরে ইউরোপের বিভিন্ন আর্কাইভসে যে-সব নতুন তথ্যের সন্ধান পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে নবাবি আমলে মুর্শিদাবাদের এই সার্বিক ইতিহাস রচনা করেছেন। লেখক এই সত্যের প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন, নবাবি আমলই মুর্শিদাবাদের স্বর্ণযুগ। মুর্শিদাবাদে তিন বণিকরাজার কার্যকলাপ, পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লব কেন হল, তার সম্পূর্ণ নতুন ব্যাখ্যা, এ নগরীর বেগমদের সম্বন্ধে আকর্ষণীয় বিবরণ এবং মুর্শিদাবাদের শিল্প, বাণিজ্য, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের আকরভিত্তিক বিশ্লেষণ গ্রন্থটির অন্যতম আকর্ষণ।


শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৩

নাকাশিপাড়া সেকাল-একাল -নীলাদ্রিশেখর সরকার

মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জন্মভূমি প্রাচীন জনপদ এই নাকাশিপাড়াতেও নারীশিক্ষা ও বিধবা বিবাহের প্রসারে এসেছিলেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর। নবাবী আমলের শেষে বাইরে থেকে শক্তিধরেরা এসে এখানে জমিদারি পত্তন শুরু করেছিলেন। প্রাচীন লোকসংস্কৃতি, সাহিত্যচর্চা, মেলা, খেলাধূলা, যাত্রা, নাটক, বাউল, কবিগান, গাজন-যা কিছুর দৃষ্টান্ত আজও মেলে তা উপস্থাপিত হয়েছে এই গ্রন্থে। আড়াইশো থেকে তিনশো বছরের পুরনো মেলা, মন্দির-মসজিদ সহ অনেক দুষ্প্রাপ্য ছবিও সংকলিত হয়েছে। শুধু প্রাচীন নয়, বর্তমান নাকাশিপাড়ার জনসংখ্যা, শিক্ষাদীক্ষা, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, রাস্তাঘাট প্রভৃতির বিভিন্ন পরিসংখ্যান সংযুক্ত হয়েছে নাকাশিপাড়া সেকাল-একালে। 


রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

কথার আড়ালে কথা - অমল পাল

আমরা প্রতিদিন কত কথাই বলে থাকি। নানারকম শব্দ, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি দিয়ে গাঁথা সেইসব কথার আড়ালে কখনো লুকিয়ে থাকে পুরাণ বা ইতিহাসের কোনো টুকরো, কখনো কোনো কাহিনি বা ব্যক্তিপ্রসঙ্গ, কখনো বা বাতিল হয়ে-যাওয়া কোনো পুরোনো অর্থ। বাংলা ভাষার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে এমন অনেক কথা। আমরা সেদিকে খেয়ালও রাখি না। কথার আড়ালে লুকিয়ে-থাকা সেইরকম কিছু কথাকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা থেকে তৈরি হল এই বই। ভালো লাগবে, যদি ভালো লাগে পাঠকের।  - (লেখক ) 



শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

বারো ভূঁইয়ার ইতিকথা - বারিদবরণ ঘোষ

বঙ্গদেশ বহুদিন থেকেই বারো ভুঁইয়ার মুলুক হিসেবে পরিচিত হয়ে এসেছে। কিন্তু মোগল বিজয়ের সময়ে যাঁরা বাহুবলের পরিচয় রেখে গেছেন তাঁদের উপজীব্য করে এই বই রচনা করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, কেবল যে বাংলাতেই বারো ভূঁইয়া ছিলেন এমন নয়, আসাম প্রদেশেও এমন বারো ভূঁইয়ার উল্লেখ ইতিহাসকারেরা করে গেছেন। একসময়ে ত্রিপুরা এবং আরাকানের অধীশ্বরেরা নিজেদের বারো ভূঁইয়াদের অধিপতি বলে ঘোষণা করতেন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে এই যে ‘বারো’ সংখ্যাটা তার একটা প্রাচীন ইতিবৃত্ত আছে। 


শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

পলাশীর যুদ্ধ, পলাশীর পর বক্সার ও মানদণ্ড ছেড়ে রাজদণ্ড - তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়

 তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ ।


শিক্ষা : শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমে । এখান থেকে প্রবেশিকা, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি. এ., কেমব্রিজ থেকে এম. এ. ও বিলাত থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরে কিছুদিন শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক ছিলেন । ১৯৪০ সাল পর্যন্ত কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি করেন । পরে পিতার সলিসিটর ফার্মে যোগ দেন । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টি অব বেঙ্গল-এর কর্মভার (১৯৪০-৫০) গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হন। এ ছাড়াও বিশ্বভারতীর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। ভারতের ইতিহাসের প্রতি তাঁর প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। তাঁর বিখ্যাত ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘পলাশীর যুদ্ধ' ও ‘পলাশীর পর বক্সার’। মানদণ্ড ছেড়ে রাজদণ্ড এই সিরিজের তৃতীয় বই।  এই বইটি নবম অধ্যায় অবধি তাঁর রচনা কিন্তু তারপরে তার অকস্মাৎ মৃত্যুর জন্য শেষ তথা দশম অধ্যায় লিখেছেন আরেক বিখ্যাত ঐতিহাসিক প্রতুল চন্দ্র গুপ্ত। 

তিনটি বইয়েরই বর্তমান প্রকাশক দে'জ পাবলিশিং। এছাড়াও তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের রচনাসমগ্র প্রকাশিত হয় দে'জ থেকেই।  

পলাশীর যুদ্ধ ও পলাশীর পর বক্সার বই দুটি অনেকদিন ধরেই ডিজিটাল লাইব্রেরি অব ইন্ডিয়ার আর্কাইভে পাওয়া যায়।  শেষ গ্রন্থটির কোনো ডিজিটাল সংস্করণ ছিলোনা তাই সেটি স্ক্যান, এডিট করে পিডিএফ তৈরী করা হলো।