শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কলকাতার সংগ্রহালয় - গোপী দে সরকার

কলকাতার সমস্ত মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দু-মলাটের মধ্যে ধরার লক্ষ্যে দীর্ঘ প্রায় দু'বছর ধরে কলকাতা পুরশ্রী-র পাতায় লিখেছিলেন গোপী দে সরকার। পরিশ্রমসাধ্য এই কাজ নিঃসন্দেহে কলকাতাপ্রেমীদের কাছে উপহার স্বরূপ।

সঙ্গে লেখক-শিল্পীর নিজের আঁকা প্রচ্ছদ ও প্রতিটি সংগ্রহালয়ের লাইন ড্রইং। প্রতিটি সংগ্রহালয়ের যোগাযোগের ঠিকানা সমন্বিত ইতিহাস এবং কি কি দর্শনীয় বস্তু আছে তার বিবরণ বইটিকে অনন্য করে তুলেছে, হয়ে উঠেছে কাজের বই।

কলকাতার অতীতকে জানার পক্ষে কলকাতার অতীতের সাক্ষ্য প্রমাণের নথী রাখা আছে এইসব সংগ্রহালয়ে।



মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

অমর বাঙালি - গৌরী সেন

উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাঙালি বিদ্যানুরাগী, কবি সাহিত্যিক ও মনীষীদের সঙ্গে অল্পবিস্তর আমাদের সকলেরই পরিচয় আছে। কিন্তু অষ্টম-নবম শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ের বাঙালি কবি, জ্ঞানী ও পণ্ডিতদের আমরা আজ প্রায় ভুলেই গিয়েছি। এই গ্রন্থে তাদের জীবনের কথাই কিছুটা গল্পচ্ছলে নিবেদিত হয়েছে। 



শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নদীয়া স্থাননাম - মোহিত রায়

 “বাংলার স্থাননামে যেমন যেমন বৈচিত্র্য আছে এমন আর কোন ভাষার এলাকায় দেখা যায় না’–একথা লিখেছেন মনীষী ভাষাবিদ, ড: সুকুমার সেন তাঁর 'বাংলা স্হাননাম' আকরগ্রহে। নদীয়া জেলার ক্ষেত্রেও একথা বলা যায়। প্রাজ্ঞ সংস্কৃতি-বিজ্ঞানী বিনয় ঘোষের সঙ্গী হিসাবে লেখক ১৯৬০-৭০ সালে সমগ্র নদীয়া জেলা নিবিড়ভাবে পর্যটন করেন এবং নদীয়ার স্থাননাম সহ সামাজিক- সাংস্কৃতিক জনইতিহাসের নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। ১৯৭০ সালে লেখক এই গ্রন্থ রচনায় হাত দেন। নদীয়া জেলায় সে সময়ের ১৪ টি থানার প্রতিটি ব্লক ও তার প্রতিটি মৌজা ও গ্রামে দীর্ঘ অনুসন্ধান করেন। 

লেখকের সুদীর্ঘ ২৫ বছরের অনুসন্ধান ও ক্ষেত্রগবেষণার ফসল ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থ।


শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

স্মৃতিরঙ্গ - তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়

 তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ ।

শিক্ষা : শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমে । এখান থেকে প্রবেশিকা, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি. এ., কেমব্রিজ থেকে এম. এ. ও বিলাত থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরে কিছুদিন শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক ছিলেন । ১৯৪০ সাল পর্যন্ত কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি করেন । পরে পিতার সলিসিটর ফার্মে যোগ দেন । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টি অব বেঙ্গল-এর কর্মভার (১৯৪০-৫০) গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হন। এ ছাড়াও বিশ্বভারতীর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। ভারতের ইতিহাসের প্রতি তাঁর প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। তাঁর বিখ্যাত ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘পলাশীর যুদ্ধ' ও ‘পলাশীর পর বক্সার’ । অন্যান্য রচনা ‘বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা’ ‘হিন্দু আইনে বিবাহ প্রভৃতি । অবনীন্দ্রনাথের ‘বাংলার ব্রত’ বই-এর ‘আলপনা' নাম দিয়ে ইংরেজি ও ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করেছেন । দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর মাতামহ ।

মৃত্যু : ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮




আনন্দ পেপারব্যাক সিরিজের স্মৃতিরঙ্গ বইটি লেখকের  বিলাতের ছাত্র জীবনের স্মৃতিকথা। 
তপনমোহন বাবুর লেখায় পুরাতনী বনেদিয়ানা থাকলেও লেখাগুলি অত্যন্ত সহজ সরল ও সুখপাঠ্য।  অভিজ্ঞতা গুলিও অত্যন্ত সরস ও বিচিত্র, মধুর। 
বইখানা তাই অবশ্যই সংগ্রহ যোগ্য। 

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কর্মাটাঁড়ে বিদ্যাসাগর: ডাঃ প্রশান্ত কুমার মল্লিক

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য 'করুণাসাগর'-এর ব্যক্তিগত জীবন ছিল অকরুণ, আনন্দহীন ও আত্মক্ষয়ের স্মৃতিতে বিধুর। তাঁর জীবনকালে দেশবাসী তাঁকে প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি, এমনকী নারীশিক্ষা, বিধবা বিবাহ প্রবর্তন বা বহুবিবাহ রোধে তাঁর উৎসাহ, স্বেচ্ছাচারী, কুসংস্কারবদ্ধ ও পশ্চাৎপদ সমাজের সনাতনপন্থী অভিভাবকবৃন্দ ধর্মনাশের সমগোত্রীয় অপরাধ বিবেচনা করে তাঁকে প্রহার ও প্রাণহানি ঘটানোর চক্রান্ত পর্যন্ত করেছিল। পরিবার-পরিজন, নিজের পুত্র ও বীরসিংহের পল্লীবাসীবৃন্দও তাঁকে বহুভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছে। ফলশ্রুতিতে, এই কর্মী মানুষটি আশাহত ও উদ্যমহীন হয়ে তথাকথিত সভ্যসমাজের অর্বাচীন মুখরতাকে নমস্কার জানিয়ে সুদূর কর্মাটাড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসন ও আত্মক্ষয়কেই বেছে নেন। বোঝা যায় বেদনা ও রোদন কী গভীর ও আক্রমণ কী তীব্র হলে, অহর্নিশ সমাজ, শিক্ষা ও জনকল্যাণের কাজে নিবেদিত একটি মানুষ তাঁর স্বরচিত ভালোবাসার বৃত্তকে বিদায় জানিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সরল নৈকট্যে সান্ত্বনা খুঁজে পেতে সচেষ্ট হন। যাঁদের মধ্যে লোভ, হিংসা, দ্বন্দ্ব ছিল না, দারিদ্রকে যারা বরণ করে নিয়েছিল সহজাত সহিষ্ণুতায়, সেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে থেকেই জীবনের অবশিষ্ট দিনগুলির আনন্দ আহরণ করেছিলেন তিনি নিজের হৃদয় দুয়ার উন্মুক্ত করে।