শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫

পরিমল আড্ডা - পরিমল ভট্টাচার্যের সাথে কথোপকথন

উন্নয়ন, বিকাশ, বিকশিত দেশ। অর্থাৎ গতকাল যা ছিলাম আজ তার থেকে ভালো। এগিয়ে যাও। সরলরৈখিক ভাবে ভালো, আরো ভালোর দিকে এগোতে এগোতে ক্লান্ত হয়ে হাঁপ নিতে দু দন্ড দাড়িয়ে হঠাৎ পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখে অবাক হতে হয়। পদচিহ্ন সব মুছে গেছে। ফিরে যাওয়ার পথ গেছে হারিয়ে। এগিয়ে যাওয়ার রাস্তাই যখন একমাত্র রাস্তা তখন উন্নয়নে উন্মত্ত মানব জাতির সামনে প্রকট হয়েছিল অতিমারী।
আর এগোনো নয়, টিকে থাকার লড়াই। 
আমরা, যারা কলাটা মূলোটা সহজে আহরণ করতে পারি; অবিরাম শুষে নিতে নিতেও শোষিত হওয়ার দক্ষ অভিনয় করে যাই আরো উঁচুতলা থেকে অতিরিক্ত চাল, কলা আর দক্ষিণার আশায়, তারা অবকাশ পেয়ে ভাবতে বসেছিলাম।
এমন সময় আমার পরিচয় হয়েছিল পরিমল ভট্টাচার্যের লেখার সাথে। শুরু হয়েছিল এক মানস ভ্রমণ। ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে দার্জিলিং পাহাড়। এক অখ্যাত দর্জি আর বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গী হয়ে সাংপো নদীর উৎস খুঁজতে খুঁজতে চেরনোবিল তেজস্ক্রিয় ভূমির পথ ধরে পৌঁছে গিয়েছিলাম আম, জাম, বট, পাকুড় আর পলিমাটির বাংলাদেশে। সে এমন এক দেশ উন্নয়ন যেখানে বেড়া দিতে পারেনি। চূর্ণী নদীর অববাহিকার ক্ষুদ্র এক জেলেপাড়া আর আসুভিত্স এর বধ্যভূমি যেখানে মিশে যায়। আলাদা আলাদা বই নয়। পরিমলবাবু যেন একই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায় লিখেছেন নানা নামে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম সেই মহাগ্রন্থকে ছুঁতে।