পাল ও সেন যুগের সমৃদ্ধ অঞ্চল শান্তিপুর। চৈতন্যদেবের ভক্তি আন্দোলনে ভাসা রাজপুরুষ, জমিদার, বিত্তবান বণিকদের ইতিহাসের সঙ্গে আছে জগৎ খ্যাত কবি সাহিত্যিক শিল্পী শিক্ষাবিদদের কথা, রাজার সনদ, বনেদি বাড়ি, আদিবাসী গ্রাম সে আমলের মন্দির গাত্রের সুক্ষ কারুকাজ ও বৈষ্ণব ও শাক্ত ভক্তদের নানা উৎসবের ছবি।
অনেকে জানেনই না শান্তিপুরে ২৫টি সুদৃশ্য মসজিদ আছে। টেরাকোটা সমৃদ্ধ মন্দির আছে, জঙ্গল আছে, আদিবাসী গ্রাম আছে। মানুষ জানেই না শান্তিপুরে ছােটো ছােটো ৮০টির অধিক শিবমন্দির আছে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কোনাে কিছুকে মানুষের কাছে সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হলে তার সঠিক বিপণন দরকার। পর্যটক আসলেই তাে সেই জায়গার উন্নতি সম্ভব। লেখক ভেবেছেন শান্তিপুরকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করলে ভালাে হয়—(১) অদ্বৈতপাট বাবলা, নােয়াজনিতলা বা লােহাজাঙ্গীতলা, বানকের নীলকুঠি, বড় গােস্বামীর বাড়ী, বংশীবদন ঠাকুরবাড়ী, গােকুলচাঁদ ঠাকুরবাড়ী, মদনগােপাল, চাকফেরা বাড়ী, জলেশ্বর,বুড়ােশিব, আগমেশ্বরী মন্দির, আশানন্দ আর এর মধ্যে থাকা মসজিদগুলি ও শ্যামাদ মন্দির, (২) হরিপুর, ব্রহ্মশাসন, বাগআঁচড়া বাগদেবী, রামকৃষ্ণ মিশন এবং (৩) ফুলিয়া কৃত্তিবাস, টাঙ্গাইল শাড়ি বিপণন কেন্দ্র।
২০১৬ সালের নদীয়া বইমেলায় ধ্রুবপদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছিল বইটি।
প্রকাশকের ঠিকানা : ১১ বি নবীন কুন্ডু লেন , কলকাতা ৭০০০০০৯
শান্তিপুরকে বিশদে জানতে অবশ্যই বইটির হার্ডকপি সংগ্রহ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন