শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

কলকাতা তিন শতক-কৃষ্ণ ধর

কলকাতা শহর একদিনে গড়ে ওঠেনি । কোনো ব্যক্তিও এর গোড়াপত্তন করেনি । ইংরেজ বণিক জোব চার্নকের নামের সঙ্গে কলকাতার প্রতিষ্ঠার যে কাহিনী জড়িয়ে আছে তার ঐতিহাসিক সত্যতা এইটুকু যে ইংরেজরা কলকাতাকে বেছে নিয়েছিল তাদের কুঠির শহর বানাবার জন্য। ছিল গ্রাম। মানুষজনের বসতি ছিল কম । পশ্চিমে ভাগীরথী নদী, পুব দিকে বিস্তীর্ণ লবণহ্রদ । পর্তুগিজ, ডাচ ও ফরাসি বণিকরা এর আগেই হুগলি অঞ্চলে ব্যবসা বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংরেজদের সঙ্গে তাদের রেষারেষি ইয়োরোপ থেকেই শুরু। তার রেশ কলকাতা অঞ্চলেও বেশ তীব্রভাবেই ছড়িয়ে পড়েছিল ।

১৬০০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৃষ্টি। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট কোম্পানির এজেন্ট জোব চার্নক তৃতীয়বারের মতো ভাগীরথীর তীরে সুতানুটি গ্রামে নৌকো নোঙর করে এ জায়গাটাকেই কুঠি বানাবার উপযুক্ত স্থান বলে বেছে নেন । সেই থেকে সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও কলকাতা গ্রাম নিয়ে শুরু হয় শহরের পত্তন । কোম্পানির চিঠিপত্রে প্রথম পাওয়া যেত সুতানুটি নামের উল্লেখ ৷ পরে তা রূপান্তরিত হয় কলকাতায় । গোবিন্দপুর ও সুতানুটি নাম ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় । বাণিজ্য শহর হিসেবে কৌলীন্য পায় কলকাতা ।



৯০ পাতা: 
ফাইল সাইজ: ৬ এম বি.
হার্ডকপি, স্ক্যান, এডিট: ডি এস আর


কলকাতার তিনশত বছর পূর্তি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমি  থেকে ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত এই বইটি বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য কারণ এর নতুন কোনো সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি। বইটি খুবই সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ। এখনো কোনো কোনো পুরোনো বইয়ের দোকানে মাঝে মাঝে এই বইয়ের এক-দু কপি মিলে যায় (কারা যে বিক্রি করে দেয় কে জানে)। পাঠক যদি কখনও এভাবেই এই বইয়ের দেখা পান তবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবেন ও সংগ্রহ করতে দ্বিধা করবেন না। 



পি.ডি.এফ কখনোই একটি বইয়ের হার্ডকপির সমতুল্য হতে পারেনা। তাই সুযোগ থাকলে অবশ্যই বইটির হার্ডকপি কিনে পড়ুন। আলীসাহেব বলে গেছেন - বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন