কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশী ডিগ্রী দূরের কথা, কলেজের পড়াশুনা থেকেও বঞ্চিত, সরকারী অফিসের পনের টাকা মাইনের সামান্য একজন কেরানি রাধাগোবিন্দ চন্দ্র এ-যুগের জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চায় ভারতের অন্যতম পথিকৃৎ । যথার্থই তিনি ছিলেন সুদূরের পিয়াসী। ছোট্ট এক গ্রামে বসবাস করে সখ্য স্থাপন করতে চেয়েছিলেন শত-শত আলোকবর্ষ দূরের তারাদের সঙ্গে । মহাকাশের অগণিত তারা হয়ে উঠেছিল ওঁর বন্ধু—এমন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যে সাগরের ওপারের অনেকে ওঁর কাছ থেকে জানতে চাইতেন সেই সব তারাদের সম্পর্কে খোঁজখবর । কিন্তু প্রথাগত শিক্ষা তো প্রায় না-থাকার মত, অর্থসামর্থ্যও তথৈবচ—অসাধ্যসাধন করলেন কি করে ? ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে যার মর্মার্থ হল, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় । ওঁর ক্ষেত্রে সেই প্রবাদটাই সত্যি হয়েছিল। কেননা ইচ্ছা ছাড়া ওঁর তো আর কোনও সম্বলই ছিল না। অবশ্য ইচ্ছাটা ছিল আবাল্য ও সুতীব্র ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
-
উন্নয়ন, বিকাশ, বিকশিত দেশ। অর্থাৎ গতকাল যা ছিলাম আজ তার থেকে ভালো। এগিয়ে যাও। সরলরৈখিক ভাবে ভালো, আরো ভালোর দিকে এগোতে এগোতে ক্লান্ত হয়ে ...
-
এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নানা কিংবদন্তি নিয়ে লেখা এক অসাধারণ গ্রন্থ। প্রতি কিংবদন্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা গল্প গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়ে...