কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশী ডিগ্রী দূরের কথা, কলেজের পড়াশুনা থেকেও বঞ্চিত, সরকারী অফিসের পনের টাকা মাইনের সামান্য একজন কেরানি রাধাগোবিন্দ চন্দ্র এ-যুগের জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চায় ভারতের অন্যতম পথিকৃৎ । যথার্থই তিনি ছিলেন সুদূরের পিয়াসী। ছোট্ট এক গ্রামে বসবাস করে সখ্য স্থাপন করতে চেয়েছিলেন শত-শত আলোকবর্ষ দূরের তারাদের সঙ্গে । মহাকাশের অগণিত তারা হয়ে উঠেছিল ওঁর বন্ধু—এমন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যে সাগরের ওপারের অনেকে ওঁর কাছ থেকে জানতে চাইতেন সেই সব তারাদের সম্পর্কে খোঁজখবর । কিন্তু প্রথাগত শিক্ষা তো প্রায় না-থাকার মত, অর্থসামর্থ্যও তথৈবচ—অসাধ্যসাধন করলেন কি করে ? ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে যার মর্মার্থ হল, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় । ওঁর ক্ষেত্রে সেই প্রবাদটাই সত্যি হয়েছিল। কেননা ইচ্ছা ছাড়া ওঁর তো আর কোনও সম্বলই ছিল না। অবশ্য ইচ্ছাটা ছিল আবাল্য ও সুতীব্র ।
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ - রণতোষ চক্রবর্তী
হার্ড কপি, স্ক্যান, এডিট : DSR
৯২ পাতা
ফাইল সাইজ : ৪ এম. বি.
প্রাক স্বাধীনতা যুগের বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্রর নাম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। পরাধীন দরিদ্র দেশের একজন সাধারণ করণিক যিনি উচ্চতর প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ পাননি অথচ অসামান্য নিষ্ঠা ও ইচ্ছাশক্তির জোড়ে সেযুগের ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ রূপে গণ্য হন। বিস্মৃত এই মহাজীবনের কাহিনীই বইটির উপজীব্য।
বইটি সম্ভবত আউট অব প্রিন্ট। প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে আনন্দধারা প্রকাশিনী থেকে। প্রকাশক দিব্যেন্দু সিংহ।
প্রকাশনীর তৎকালীন ঠিকানা:
৭৯/১ বি মহাত্মা গান্ধী রোড
কলকাতা ৭০০০০৯
পি.ডি.এফ কখনোই একটি বইয়ের হার্ডকপির সমতুল্য হতে পারেনা। তাই সুযোগ থাকলে অবশ্যই বইটির হার্ডকপি কিনে পড়ুন। আলীসাহেব বলে গেছেন - বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়না।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নানা কিংবদন্তি নিয়ে লেখা এক অসাধারণ গ্রন্থ। প্রতি কিংবদন্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা গল্প গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়ে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন