বাংলা ভাষায় বঙ্গ ও বঙ্গবাসী নিয়ে আলোচনা ও সেই সংক্রান্ত ই-বুকের সংগ্রহালয়ে আপনাকে স্বাগত। ইতিহাস থেকে ভ্রমণ, সমাজ, সংস্কৃতি , প্রকৃতি, পরিবেশ নিয়ে যা কিছু বাংলার তাই আমাদের আলোচ্য। আমাদের ব্লগে আপনার যাত্রা শুভ হোক।

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গোপাল ভাঁড়-সুধীন্দ্রনাথ রাহা

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় চিরস্মরণীয় ব্যক্তি। বহু জ্ঞানী, গুণী, কবি ও রসিক ব্যক্তির প্রতিপালনের ভার তিনি নিয়েছিলেন নবদ্বীপের হরিরাম তর্কসিদ্ধান্ত, শিবরাম বাচস্পতি, বীরেশ্বর ন্যায়পঞ্চানন, রামরুদ্র বিদ্যানিধি, গুপ্তিপাড়ার বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, ত্রিবেণীর জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন, শান্তিপুরের রামমোহন গোস্বামী প্রভৃতি পণ্ডিতগণ তাঁর সভায় স্থান পেয়েছিলেন। তাঁর সভাকবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের নাম বাংলা-সাহিত্যে অমর হয়ে আছে। কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশেই ভারতচন্দ্র বিদ্যাসুন্দর রচনা করেন ।

কবি রামপ্রসাদ সেন তাঁরই সভাকবি ছিলেন। নিজে রসিক বলেই গোপাল ভাঁড়, আজু গোঁসাই, হাস্যরাম, মুক্তিরাম প্রভৃতি বিভিন্ন রসিক সজ্জনকে সমাদরে 'আহ্বান করে এনে নদীয়া রাজধানীতে বাস করিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্ৰ । । এঁদের ভিতর প্রথমেই নাম করতে হয় গোপালচন্দ্রের, দুই শতাব্দী ধরে গোপাল ভাঁড় নামে যাঁর স্মৃতি বেঁচে রয়েছে বাংলার লোকসমাজে। গোপাল ছিলেন প্রকৃত রসিক ও রসবেত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি ছিল তাঁর অসাধারণ, কথায় কেউ তাঁকে ঠকাতে পারত না। প্রাচীন সংস্কৃত-সাহিত্যে রাজসভার বিদূষকদের কিছু- কিছু পরিচয় পাওয়া যায়। গোপাল ছিলেন সেই জাতীয় বিদূষক। রাজাকে আনন্দ যোগাবার জন্যই তিনি হাস্যরসের সৃষ্টি করতেন—সন্দেহ নেই । কিন্তু তাঁর অনেক সরস উক্তি এক-যুগ পরে আজও বাংলার রাজা, মজুর সকল শ্রেণির লোককে হাসিয়ে মাতিয়ে তোলবার শক্তি রাখে, এটা গোপালের অসাধারণ বাহাদুরির পরিচায়ক।



শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গের দুর্গ পরিক্রমা - তারাপদ সাঁতরা

কাল যেখানে অতীত হয়েও বর্তমান, ইতিহাস যেখানে সুপ্ত হয়েও সদাই জীবন্ত, একমাত্র নৈঃশব্দই যেখানে সশব্দে বিরাজিত হয়। দেশের অস্তে-প্রত্যন্তে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দুর্গ-কেল্লা-গড় তারই এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। ঐতিহাসিক এখানে ছুটে আসেন ইতিহাসের অধ্যায় রচনার উপকরণ সন্ধানে,পর্যটক ছুটে আসেন স্বদেশপ্রেমের আকুল অন্বেষণে,আর আলোকচিত্রী ব্যাকুল হয়ে ওঠেন লুপ্ত স্মৃতির রক্ষায় দুর্গের দুর্গমতা,দুর্গের নৈঃশব্দ,দুর্গের মুখরতা পর্যটকের কাছে এ এক অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ।  তাই বর্তমানকে উপেক্ষা করতেও ভ্রামণিক মন দ্বিধা করেন না।



শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সুন্দরবনের আঞ্চলিক জীবন, বিশ্বাস ও লোকসংস্কৃতি -প্রণব সরকার

সুন্দরবন অঞ্চলের নিম্নবর্গের মানুষ ও তাদের জীবন, বিশ্বাসের নানা দিক নিয়ে আলোচিত হয়েছে এই বইতে। আঞ্চলিক লোকজীবন, তাদের বিশ্বাস ও লোক সংস্কৃতিকে সম্যক রূপে পেতে গেলে প্রান্তিক ও নিম্নবর্গীয় জীবনের মাঝে পৌঁছাতে হয়। আঞ্চলিক জীবনের লোকায়ত প্রকৃষ্ট চিত্রাবলী আজও যা বেঁচে-বর্তে আছে তা ওই তথাকথিত দলিত, তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের সমাজে। এই বইতে বাঙালি জাতি ও বাংলার লোকসমাজের বৈশিষ্ঠ্য সম্পর্কে কতকগুলো স্পষ্ট ধারণা তৈরির চেষ্টাও করা হয়েছে। 


শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যুদ্ধ নৃত্য ও বাংলা - মহুয়া মুখোপাধ্যায়

গুরুসদয় দত্ত 'রায়বেঁশে' নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাঁর 'বাংলার বীর যোদ্ধা রায়বেঁশে' গ্রন্থে, তাছাড়া তাঁর ইংরেজিতে রচিত Folk dances of Bengal গ্রন্থেও আমাদের যুদ্ধনৃত্য সম্পর্কিত আলোচনা স্থান পেয়েছে। এছাড়াও কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে বাংলার যুদ্ধ নিয়ে কিছু কিছু আলোচনা করেছেন। কিন্তু তথাপি আমরা বাংলার যুদ্ধ নৃত্য নিয়ে একটি আনুপূর্বিক আলোচনার প্রতীক্ষায় থেকেছি। সুখের বিষয় একালের একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত নৃত্য শিল্পী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায় একাজে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের লোকসংস্কৃতি বিভাগে স-দৃষ্টান্ত তিনি যখন আমাদের যুদ্ধ নৃত্যের আলোচনা করেন, তখনই আমরা চমৎকৃত হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সেমিনারে প্রদত্ত বক্তৃতাটিই গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হল। এই গ্রন্থটিতে পাঠক উপরি পাওনা হিসাবে পাবেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচলিত যুদ্ধ নৃত্যের পরিচয়। তাছাড়া সংক্ষেপে হলেও অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার যুদ্ধ নৃত্য নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

প্রমোদ দাশগুপ্ত'র সঙ্গে সেই দিনগুলি - সুধাংশু দাশগুপ্ত

"জীবন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেই” – লেনিনের এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গে সি. পি. আই (এম)-এর জীবনে বাস্তবায়িত করে তুলেছিলেন যিনি সেই কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্তের জীবন প্রদীপ নিভে গেলো ১৯৮২ সালের ২৯শে নভেম্বর চীনের বেইজিং (পিকিং)-এর হাসপাতালে।

মৃত্যুর মধ্য দিয়েও কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত পার্টিকে যে নতুন স্তরে উন্নীত করে গেলেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠলো সেবছর ডিসেম্বরের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসমাবেশে কংগ্রেস (ই), জনতা থেকে শত্রু, করে সর্বদলের, সর্বমানের নেতাদের তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা ।

আদর্শে'র জন্য সংগ্রামই জীবন—এই মূলমন্ত্র নিয়ে বিশের দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যে বিপ্লবী জীবনের সূচনা সেই বিপ্লবী জীবনের সমাপ্তি ঘটলো আশির দশকের প্রথমার্ধে। বিপ্লবী জীবনের এই দীর্ঘ যাত্রাপথে কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত ছিলেন আদর্শে অটল-মতাদর্শের ক্ষেত্রে কোথাও তিনি আপস করেন নি। প্রমোদ দাশগুপ্তের  জীবনকাহিনী সেভাবে চর্চিত হয়নি। ভবিষ্যতে প্রয়োজনবোধে যদি কেউ বা কোনো সংস্থা কমরেড প্রমোদের জীবনকাহিনী লিখতে উদ্যোগী হন তাদের জন্যই কমরেড প্রমোদ সম্বন্ধে লেখকের জানা কিছু তথ্য এই বইতে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন।