আমাদের বাংলাদেশে এক ইঞ্চির প্রায় পঁচিশ ভাগের এক ভাগ থেকে চার-পাঁচ ইঞ্চি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের অসংখ্য রকমারি মাকড়সা দেখতে পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই জাল-বােনা মাকড়সার সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত। কিন্তু সব রকমের মাকড়সাই জাল বােনে না। যারা জাল বােনে একমাত্র তাদের রকমারি অবাক করার মতো। কেউ জাল বােনে খাড়াভাবে, কেউ বােনে শয়ানভাবে। কারাে জাল তেকোনা, কারাে জাল বহুকোণী । কারাে জাল তাবুর মতাে, আবার কারাে জাল পাতলা কাগজের মতাে সমতল। বিভিন্ন জাতের মাকড়সার জাল বােনার কৌশল এবং কারুকার্যও বিচিত্র রকমের।
শ্ৰীযুক্ত গােপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য কেবলমাত্র যে কৃতী বৈজ্ঞানিক তা নন, বাংলাদেশের বিজ্ঞান সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি একজন সুপরিচিত লেখক।
গােপালবাবু আচার্য জগদীশচন্দ্রের প্রিয় ছাত্র এবং বসু বিজ্ঞান মন্দিরে প্রাণিবিজ্ঞান ও কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত গবেষক ছিলেন। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় তাঁর মৌলিক গবেষণার বিষয় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এদেশের একজন প্রখ্যাত ন্যাচরালিসটও ছিলেন। বাংলাদেশের বহু মাসিক ও দৈনিক পত্রিকায় তাঁর অনেকপ্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা সম্পর্কে কীট-পতঙ্গ প্রতিপালন ও পৰ্যবেক্ষণ করবার সময়ে তাদের আচার-ব্যবহার বিষয়ে যে-সব কৌতুহলােদ্দীপক ব্যাপার তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন তারই কিছু কিছু ছােটদের জন্য বাংলার মাকড়সায় লিপিবদ্ধ করেছেন। সবগুলাে ব্যাপারই তার নিজের দেখা এবং সমস্ত ফোটোগ্রাফগুলােও তাঁর নিজের তোলা।৩৫ পাতা
১৪.৬ এম বি পিডিএফ
হার্ড কপি , স্ক্যান , এডিট : DSR
ডাউনলোড করুন
বইটি দে'জ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। প্রথম দে'জ সংস্করণটির মূল্য মাত্র ৪০ (ভারতীয়) টাকা। আউট অফ প্রিন্ট হয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই সংগ্রহ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন