শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

আন্দামান পুনর্বাসন - এক বাঙাল অফিসারের ডাইরি -বিকাশ চক্রবর্তী

বাঙালির দেশভাগের যন্ত্রণা কোনও দিন ঘোচবার নয়। দেশ স্বাধীন-হওয়া এবং বাঙালির বড় একটা অংশের দেশ-হারানো ভারত-ইতিহাসে এক মর্মবিদারী অধ্যায় হয়ে আছে। অধ্যায়টি সম্প্রসারিত হয় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন পর্বে। রাষ্ট্রের হাতে মানুষের যত অপমান নির্যাতন হতে পারে, সবই সইতে হয়েছে একটি জাতিকে। কলকাতা শহরের ফুটপাথে, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, দূর মফস্সলের খা-খা প্রান্তর থেকে দণ্ডকারণ্যের পাষাণভূমি— সর্বত্র পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুরা নিক্ষিপ্ত হয়েছে জঞ্জালের মতো। কোথাও কি সহানুভূতি, সহমর্মিতা ছিল না? ছিল, দ্বীপান্তরের দেশ আন্দামানে। নিম্নবর্ণের শ্রমজীবী উদ্বাস্তু বাঙালি সেখানে পেয়েছে সম্মান ও সুযোগ। তৈরি করেছে নিজের দেশ। নববঙ্গ । আন্দামানে পুনর্বাসনের ইতিহাস উদ্বাস্তু বাঙালির স্বাবলম্বনের ইতিহাস, লড়ে-যাওয়া খেটে-খাওয়ার ইতিহাস । এক শোষণহীন, উচ্চনীচ ভেদাভেদহীন সমাজস্থাপনের ইতিহাস। দফায় দফায় এই পুনর্বাসনের বিশদ বিবরণ, ঘটনা ও পরিসংখ্যান-সহ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পেশ করেছেন পুনর্বাসনের দায়িত্বে থাকা এক ‘বাঙাল’ অফিসার।




৭৭ পাতা 
ফাইল সাইজ : ৮.৫ এম বি 
হার্ডকপি, স্ক্যান, এডিট : ডি এস আর 


বইটির প্রকাশক গাঙচিল।  পিডিএফের সংস্করণটি প্রকাশকাল ২০১২ সাল।  এর পরে বইটির কোনো নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানা যায়নি।  বিভিন্ন বই কেনার ওয়েবসাইটে গাঙচিলের বইয়ের যে তালিকা পাওয়া গেছে তাতে হয় এই বইটির নাম নেই অথবা আউট অব স্টক দেখায়। অথচ দেশভাগ ও উদ্বাস্তু সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এই বইটি।  বাংলা ও বাঙালির গভীর মর্মবেদনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে পাঠক নিশ্চয়ই বইটির হার্ডকপি সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। 



পি.ডি.এফ কখনোই একটি বইয়ের হার্ডকপির সমতুল্য হতে পারেনা। তাই সুযোগ থাকলে অবশ্যই বইটির হার্ডকপি কিনে পড়ুন। আলীসাহেব বলে গেছেন - বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন