‘বঙ্গ’ থেকে ‘বাঙালী' শব্দটি এসেছে যাতে একটি জনগোষ্ঠী বোঝায়। ‘বঙ্গ’ জনগোষ্ঠী থেকে ‘বঙ্গদেশ' হয়েছে। এভাবেই বঙ্গ থেকে সৃষ্টি হয়েছে বেঙ্গলা, বাঙ্গালাহ, বঙ্গালা, বঙ্গালী, বঙ্গোপসাগর, বেঙ্গল, পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ এখনও চালু।
ঐতরেয় আরণ্যকে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দের ব্যবহার পাই। এতে জনগণ বোঝানো হয়েছে। এই ‘বঙ্গদের বংশধররা নমঃশূদ্র। বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে।
আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আধুনিক বিজ্ঞান জাত, জাতি এবং বর্ণ ইত্যাদি বিশ্বাস করে না। আমরা একই মানবগোষ্ঠীর। ব্রাহ্মণদের নিজেদের মধ্যে জেনেটিক পার্থক্য অনেক বেশি। অন্যদিকে ব্রাহ্মণ ও অব্রাহ্মণদের মধ্যে বিশেষ কোনও genetic ব্যবধান নেই।
ভারতে জাতব্যবস্থা একটা বড় ব্যবসায়। পৃথিবীব্যাপী ওয়েবসাইট ইনটারনেট ইত্যাদি থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী এখানকার জাতব্যবস্থার ঠাসবুনানি। জাতে ওঠা বা জাত পরিচিতি সবচেয়ে বড়গুণ যার মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা, চাকুরী, ব্যবসায়, ক্ষমতা, খ্যাতি এবং সব ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা লাভ করা যায়।
রাজনৈতিক নেতারা এই জাতের ছত্র-ছাড়পত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে। নিম্নবর্গীয় জাতি নিচু হতেই থাকে আর নেতারা এসব কাজে লাগিয়ে ছাতি ফুলায়। জাতি বা সম্প্রদায়-এর নামে এদেশে দুর্নীতি আর অনগ্রসরতা বাসা বেঁধে আছে। বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে দুর্বল শ্রেণী ও সংখ্যালঘু জনগণকে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কব্জি করে রাখে।
Genome বিজ্ঞান জাতি, জাত এবং বর্ণকে করেছে নস্যাৎ। এসব কি আমরা শুনবো? মানবো? বিজ্ঞান জাত-পাঁত ভেঙ্গেছে কিন্তু সমাজ ভয়াবহ ঔদ্ধত্যে এবং প্রতিরোধে এই জাতব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখছে। সারাবিশ্বে নতুন এক ‘জাতিবাদ’ চালু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ উদার হবার ভড়ং দেখালেও আসলে ভারতের অন্যান্য প্রাদেশিক রাজ্যের মতো এখানেও জাত-পাতের বিচার জোরদার বহাল।
১৬৪ পাতা
ফাইল সাইজ : ১৭ এম বি
হার্ডকপি, স্ক্যান, এডিট : DSR
::: ডাউনলোড করুন :::
বইটির প্রকাশক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন